ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছোটদের বিরুদ্ধে বড়দের শাস্তি।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৭-১৫ ১৭:২৩:০৭
ছোটদের বিরুদ্ধে বড়দের শাস্তি। ছোটদের বিরুদ্ধে বড়দের শাস্তি।
 
 
রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর 

 
আব্দুল্লাহ ও বায়েজিদ তারা দুজন বন্ধু। দুজনেই স্হানীয় একটি বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। এক সঙ্গে খেলাধুলা করে। এক সঙ্গে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করে।একদিন দুই বন্ধু পাখি মারা বাটুল নিয়ে খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ চোখে লেগে যায়। এতে সে আঘাত পায়। আব্দুল্লাহ উপজেলা রাধানগর ইউনিয়ন লালদিঘী সোনারপাড়া গ্রামের নূরমোহাম্মদ ছেলে। আর বায়েজিদ একই গ্রামের নজরুল ইসলাম ছেলে।

 
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন নূরমোহাম্মদ আহত ছেলেকে নিয়ে প্রথমে স্হানীয় হোমিও চিকিৎসার কাছে নিয়ে যান।সাতদিন পর শিশুটি চোখের অবস্থা উন্নতি না হলে সৈয়দপুর মরিয়মনেসা চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুরে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে রংপুরে একটি ক্লিনিকে সাতদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বায়েজিদ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।


সোনারপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, আব্দুল্লাহ বাবা নুরমোহাম্মদ তার ছেলে চিকিৎসা খরচ ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন নজরুল ইসলাম কাছে। নজরুল একজন ভ্যানচালক। সে এতগুলো টাকা কোথায় থেকে দেবে। এজন্য নূর মোহাম্মদ থানায় মিথ্যা মামলা করলে। নজরুল কারাগারে যায়। তিনি আরো বলেন, নজরুল ১৭ দিন থেকে কারাগারে থাকায় তার স্ত্রী সন্তানরা চরম কষ্টে আছেন।

 
একই গ্রামের আমিরুল নামে এক ব্যাক্তি বলেন, দুজনই বাচ্চা তারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হয়।এরপর এক বাচ্চার চোখে লাগে। কিন্তু মামলায় বাচ্চার বাবা কেন জেলে যাবে। এখন ১৭ দিন জেলে থাকায় তার পরিবার মানবতার জীবন যাপন করছেন। অনেক সময় অনাহারে দিন কাটাতে হয়।

 
রহিমা বেগম নামে এক নারী বলেন, ছৈলে ছৈলে বিবাদ। ছৈলের বাব কেন জেলোত যাইবে। এটা ক্যাংকা বিচার দেশোত।পরিবার টা এখন গ্রামে মাইশে কায়ো একন্যা চাল, কায়ো এ্যাকনা তরকারি দেওছে। এতে কোন মতে নজরুল ছৈল পৈল খায়ে আছে।

 
দুই সন্তান নিয়ে চরম কষ্টে জীবন যাপন করা কারাগারে থাকা নজরুল ইসলাম স্ত্রী মারুফা কান্নাজড়িত ভাবে বলেন, আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জেলে ১৭ দিন থেকে। আমি দুই সন্তান নিয়ে একবেলা খেয়ে কোন মত জীবন যাপন করছি। মারুফা আরো বলেন, চিন্ময় নামে একজন অফিসার তদন্ত না করে আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়।আমি আমার স্বামীর মুক্তি চাই। তা নাহলে আমার মরি যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। 

 
অভিযোগ অস্বীকার করে নূরমোহাম্মদ বলেন, আমার বাচ্চার যখন চোখে আঘাত লাগে।ওরা আমার বাচ্চার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেনি।উল্টো নজরুল স্ত্রী বলে কি করার আছে করো। তাদের স্হানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার সালিসে ডাকি বিচার করে।কিন্তু ওরা বিচারও মানেনা।

 
রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, থানার ওসি বিষয়টি আমাকে দেখার জন্য বলে। আমি নজরুল কে ডাকলে সে আসেনা।
বদরগঞ্জ থানার এসআই চিন্ময় রায় মুঠোফোনে বলেন, মামলা রেকর্ড করার ক্ষমতা আমার নেই। একথা বলে মুঠোফোন সংযোগ কেটে দেন।





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ